কুড়িগ্রামে নদী গর্ভে বিলীন বিস্তীর্ণ জনপদ দিশেহারা মানুষ

কুড়িগ্রামে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ সব হারিয়ে দিশেহারা মানুষ।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধরলা নদী বেষ্টিত একটি জনপদ মেখলীরচর।
বন্যা পরবর্তী ধরলার অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে এখানকার সরকারি স্কুল, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসছে এ জনপদের মানুষ।
শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদে গণশুনানি গ্রহণ
সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসে অনেক আগে থেকে নানান প্রতিশ্রæতি দিলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ফলে সব হারানো আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অনেকে সব হারিয়ে দিশেহারা। এমতাবস্থায় সব কিছু নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় এসব মানুষজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেখলীরচর খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের একাংশ ও
বিদ্যালয় সংলগ্ন খন্দকারপাড়া জামে মসজিদের ভবন ধরলার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে।
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় যুবকের আত্বহত্যা
যেকোন মুহুর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বিদ্যালয়টির পুরো ভবন। যে ভবনটি এক বছর আগে পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাঙ্গন কবলিত গ্রামটির বাসিন্দা কবির আহম্মেদ মতিয়ার, ছাইফুল, হারুন ও মনজুরুল জানান, ধরলার অব্যাহত ভাঙ্গনে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।
ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে অনেক পরিবার। গত ২ মাসে গ্রামের প্রায় ৮০টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বহু আবাদি জমি প্রতিদিনই ধরলার গর্ভে চলে যাচ্ছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার একমাত্র বিদ্যালয়টিও ধরলা ভেঙ্গে নিচ্ছে।
এখন বাচ্চাগুলো কোথায় লেখাপড়া করবে জানেন না তারা। বিদ্যুতের ৬টি খুঁটি নদীতে বিলীন হওয়ার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এখানকার প্রায় শতাধিক বাড়ি।
ধরলার ভাঙ্গনে খন্দকারপাড়া জামে মসজিদটি নদীতে বিলীনের ফলে ১১০ ঘর মুসল্লি খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায় করছে।
ভারত আজ থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারে
হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদের সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠটিও।
এলাকাবাসী হযরত আলী, নুর ইসলাম, আবু বকর, আলিফ উদ্দিন, বাছের আলী, কফিল উদ্দিন, আঃ কাদের বলেন,
দীর্ঘদিনেও ভাঙ্গনরোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার আমরা আজ নিঃস্ব হচ্ছি।
কুড়িগ্রামে নদী গর্ভে বিলীন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, আমরা একাধিকবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি পরিদর্শন করেছি।
ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে।
নোবেল শান্তিতে মনোনীত বাংলাদেশি চিকিৎসক রুহুল আবিদ
তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা হলে ফুলবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার স্কুল ভবনটি রক্ষায়
আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।
Pingback: তিনদিনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: শ্রীপুরে জৈনা- কাওরাইদ সদ্য নির্মিত রাস্তার বেহাল দশা - দ্যা বাংলা ওয়াল