শার্শায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা বেড়েছে জনদূর্ভোগ

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উদাসিনতা : শার্শায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশায় পরিণত বেড়েছে জনদূর্ভোগ। বেড়েছে জনদূর্ভোগ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার কারণে বরাদ্দ স্বল্পতা ও রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে প্রতিনিয়ত সড়কে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
নাগরপুরের অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধারের ২ দিনেই সনাক্ত
উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে এ সকল সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা
অথচ বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে।
প্রতি বছর এ উপজেলা থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
অথচ শার্শা উপজেলায় উন্নয়ন হয় খুবই নগন্য।
উপজেলার ১১৮৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এ বছরই ১৮০ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জরুরী প্রয়োজন।
কিন্তু এ বছরে মাত্র ১৭ কিলোমিটার সড়কের মেরামতের বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
শার্শায় ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে শার্শা ইউনিয়নে ১০১.৭৬, ডিহি ইউনিয়নে ৭৩.৯৩, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ৯৮.১৭, বেনাপোল ইউনিয়নে ৮৫.৪১,
বাগআঁচড়া ইউনিয়নে ৬৬.৫, গোগা ইউনিয়নে ৭৭.৯০, কায়বা ইউনিয়নে ৬৬.৭৮, লক্ষণপুর ইউনিয়নে ৬০.৭৫,
সলঙ্গা থানা যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজামপুর ইউনিয়নে ৯৩.৫৩ ও পুটখালী ইউনিয়নে ৭৫.৬৯ কিলোমিটার কাঁচা পাকা সড়ক রয়েছে।
প্রতিটি গ্রামীন সড়কে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে কোন দিক নির্দ্দেশনামূলক সাইন বোর্ড না থাকায়
সড়কের ধারণ ক্ষমতার চাইতে ১০ গুণ ভারী পণ্য পরিবহন করছে।
দেখভাল করার কেউ না থাকায় সরকারে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সড়ক উন্নয়নে ব্যয় বরাদ্দ বিফলে যাচ্ছে।
উপজেলা সংযুক্ত সড়ক শার্শা হতে কাশিপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গভীর রাতে
কখনো দিনের বেলা ২০-৩০ টন পণ্য নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
অথচ ওই সড়কের ধারণ ক্ষমতা ৬-৭ টন। তা ছাড়া প্রতিটি সড়কের একই অবস্থা।
সুনামগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ বিতরণ
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকার গত ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বও এক পত্রে দেশের প্রতিটি উপজেলা প্রকৌশলীকে
জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহিত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সিদ্ধান্তে বলা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল প্রকার গ্রামীণ সড়ক ডিজাইন
স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ১০ টনের অধিক পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল করতে না পারে।
সে ব্যপারে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং বিআরটিএর কর্মকর্তাগণের সাথে আলোচনা করে
ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দ্দেশ দিলেও আজও সে নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি।
এছাড়া রাজনৈতিক দূর্বৃত্তানের ফলে গ্রামীণ পাকা সড়ক ও কাঁচা সড়ক পুকুর পাড়ে ভেড়িও তৈরী হচ্ছে। যা আইনের পরিপন্থি।
শার্শায় গ্রামীণ সড়কের ঢালে ঘরবাড়ি দোকানপাট তৈরী করায় প্রতিনিয়ত সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
সেবা প্রত্যাশী নাগরিকদের গণশুনানি গ্রহণ
প্রতি বছর গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন রাস্তার রোড আইডি নম্বরসহ বরাদ্দ চেয়ে প্রধান প্রকৌশল দপ্তরে প্রেরন করা হচ্ছে।
অথচ এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল গ্রামীণ সড়ক যাতে রোড আইডি নম্বর না হয় সে তৎপরতাও চালাতে থাকে।
ফলে ঐ সকল সড়ক গুলি রোড আইডি নম্বর যুক্ত হয় না।
শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী এম.এম মামুন হাসান বলেন, শার্শা উপজেলায় ৫২৭টি সড়ক আছে।
যাহার দৈর্ঘ্য ১১৮৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা সড়ক ৮০৮ কিলোমিটার এবং পাকা সড়ক ২৯১ কিলোমিটার এবং এইচবিবি সড়ক ৮৪ কিলোমিটার।
গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১৭.২৭৮ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং
সড়ক উন্নয়ন খাতে ৩০.৬৮৬ কিলোমিটার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৬ কোটি ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে আগ্রহী নন ট্রাম্প
এ ব্যাপারে জেলা প্রকৌশলী মির্জা ইখতেখার আলী বলেন,
প্রতিটি সড়কের শুরুতেই যাতে দিক নির্দেশনামূলক সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন,
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে প্রতিবছর সরকার রাজস্ব আয় করে থাকেন প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে শার্শা উপজেলায় উন্নয়নের জন্য চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনী অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অদুর্দর্শিতা ও এক চোখা নীতির ফলে শার্শা উপজেলায় যে ভাবে উন্নয়ন হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।
তা ছাড়া শার্শা উপজেলায় যে পরিমাণ উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা খুবই সামান্য।
সমুদ্রবন্দরে সংকেত ৩ সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
এভাবে উন্নয়ন হলে এসডিজি অর্জনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
শার্শায় গ্রামীণ সড়কের এছাড়া উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মত বিধি বহির্ভূত ভাবে ইট ভাটা নির্মিত হওয়ায়
গ্রামীণ জনপদের জন্য নির্মিত গ্রামীণ সড়ক গুলি নির্মাণের ২ বছরের মধ্যে বিনষ্ট হচ্ছে।
ইট ভাটার মাটি, কয়লা ও ইট পরিবহনে ট্রাকগুলো সড়ক নষ্ট করে দিচ্ছে।
অবৈধ ভাটা বন্ধ না করা হলে কখনই গ্রামীণ সড়ক টেকসই বা উন্নয়নের শিখরে পৌছানো যাবে না।
Pingback: হবিগঞ্জের চা শ্রমিক কন্যা ধর্ষণের সঠিক তদন্ত চায় বাগানবাসী - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: লাইট পোস্ট হেলে উল্টে গেল পাথর বোঝাই ভারতীয় ট্রাক - দ্যা বাংলা ওয়াল