শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহিদুল
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করতে চান জাহিদুল আলম রবিন। তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সর্বোপরি তিনি আপাদমস্তক আওয়ামী পরিবারের একজন সন্তান।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন
শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহিদুল আলম রবিন।
অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় তিনি শ্রীপুর পৌরসভাকে “নাগরিকদের পৌরসভা” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সম্ভব সকল প্রকার কাজ বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রীধারী জাহিদুল আলম রবিন অনেকটা স্বল্প বয়স ও
সময়ে নিজেকে পরীক্ষিত রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছেন।
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের বসতঘরের করুণদশা
রাজনৈতিক পরিমন্ডল ছাড়াও রবিন পারিবারিকভাবে অনেক সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
তার বাবা জাকির হোসেন ও চাচা আব্দুর রউফ আওয়ামীলীগকে গুরুত্ব দিয়ে তথা আওয়ামীলীগের পতাকা বহন করে কখনও জনপ্রতিনিধি,
কখনও দলীয় প্রতিনিধির ভূমিকায় কাজ করেছেন। এমনকি তার মরহুম দাদা আব্দুল বাতেনও আওয়ামী পরিবারের একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যাক্তি ছিলেন।
১৯৯২ সনের ৭ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া যুবক জাহিদুল আলম রিবন ব্যবসা ক্ষেত্রেও সফল।
রবিন পাইপ ইন্ডাস্ট্রি, রবিন ট্রেডার্স, রুমাইসা এক্সপ্রেস নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তিনি পরিচালক।
এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখে মানবসেবায় অবদান রেখে চলেছেন।
“ফ্রেন্ডস ফর সোসাইটি” নামে একটি সামাজিক ও শিক্ষা বান্ধব সংগঠনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সেবা প্রদান ছাড়াও মৌলিক চাহিদা পূরণ করে চলেছেন।
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, প্রতিবন্ধী মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, অসুস্থ, দীর্ঘদিন রোগে ভোগা মানুষ,
জরুরী প্রয়োজনে রোগীর রক্তদান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিশুদের জন্য বৈচিত্রমূলক কর্মকান্ডের আয়োজন অব্যাহত রয়েছে।
রাজনীতির ক্ষেত্রেও রবিন ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের পতাকাতলে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ২০০৮ সালে তিনি রাজনীতির দরজা উম্মোচন করেন।
বিএনপি-জামাতের ডাকা হরতাল অবরোধে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এবং রয়েছেন।
২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে জেলা শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
২০১১ সাল থেকে স্থানীয়ভাবে শ্রীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
২০০৮ এর পর থেকে সকল সংসদীয় নির্বাচনে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে জোরালো অবস্থানে থেকে কাঙ্খিত সফলতা নিশ্চিতে নিয়োজিত রাখেন।
কোনো লোভ, ব্যাক্তি স্বার্থ, গোষ্ঠীর স্বার্থ তাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মূলস্রোত থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও আঞ্চলিক সকল নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সপক্ষে সকল কর্মকান্ডে নিজেকে সদা সক্রিয় রাখেন।
অতি সম্প্রতি করোনাকালীন কুইক রেসপন্স টীম গঠন করে শ্রীপুর পৌরবাসীর জন্য বিনামুল্যে অ্যাম্ব্যুলেন্স, অসুস্থ ব্যাক্তিদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেয়া, মাস্ক,
হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, বিনামূল্যে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে সাড়া জাগিয়েছেন।
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র, অর্থ তুলে দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।
পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, থানায় মামলা
ইতিবাচক স্বপ্ন লালন করা যুবক রবিন শ্রীপুর পৌরসভাকে একটি গ্রীন পৌরসভায় রূপান্তর করতে সম্ভব সকল প্রকার কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্যরে সঠিক ব্যবহারে বিদ্যুৎ ও সার তৈরীর পরিকল্পনা, সকল রাস্তা সর্বসময়ের জন্য চলাচল উপযোগী করে গড়ে তোলা,
প্রতিটি ওয়ার্ডে বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা, মশা নিধন, শব্দ ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধ, শতভাগ রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে সেসব প্রয়োজনীয় খাতে ব্যায় করা,
পৌরসভার শ্রীপুর ও মাওনা চৌরাস্তায় নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, পৌর এলাকার সকল জনবহুল এলাকার রাস্তায় বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা,
জনবহুল এলাকায় আধুনিক ও বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সকল প্রকার সেবা প্রদানে পৌরসভার পক্ষ থেকে সেসব নিশ্চিত করা,
ডিজটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বিনামূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়াসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে সর্বোচ্চ শ্রম প্রদান
অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও রয়েছে স্বপ্ন লালনকারী জাহিদুল আলম রবিনের।
ঘোষিত এবং অঘোষিত বিভিন্ন ধরণের সেবার মানসিকতা নিয়ে আসন্ন শ্রীপুর পৌরসভার একজন মেয়র হিসেবে
পৌরবাসীর সমর্থন এ যুবককে আরও উজ্জীবিত করবে বলে বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।
Pingback: দুর্গা পূজায় টানা চার দিনের ছুটির ফাঁদে বেনাপোল স্থলবন্দর - দ্যা বাংলা ওয়াল