তালায় প্রতিবন্ধী পরিবারের প্রাণনাশের হুমকি ভাংচুর
তালায় অসহায় প্রতিবন্ধী আব্দুল আলী মোড়লের বসতভিটা জোর পূর্বক ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাই লুৎফর মোড়লের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিবন্ধীর স্ত্রী মোছাঃ রুপিয়া বেগম।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মাছিয়ারা গ্রামের মৃত: আইজুদ্দীন মোড়লের বড় পুত্র,
প্রতিবন্ধী আব্দুল আলী সহিত আপন ভাই লুৎফর মোড়লে বসতভিটা ভিটা নিয়ে দীর্ঘ দিন বিভেদ চলে আসছিল।
সম্প্রতি বসতভিটার জমির সীমান নিধারণ করা হলে লুৎফর মোড়লে ঘর আব্দুল আলী মোড়লের সীমানার মধ্যে পরে।
গত ২৬শে(অক্টোবার) বিকাল আনুমানিক ৪ টার উক্ত ঘর লুৎফর মোড়ল ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম(৩৮), ছেলে ফরিদ মোড়ল(১৯) তাদের ঘর ভাঙ্গতে শুরো করেন।
সে সময় আব্দুল আলী মোড়লের স্ত্রী রুপিয়া বেগম তার ভাসুর কে বলেন,আমার ঘরের জেন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়!
এই কথা বলিলে অভিযুক্তরা আব্দুল আলী মোড়লের বসত ভিটার একটি দেওয়াল ও ছাদের কিছু অংশ যাহা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানি ৫০ হাজার টাকা
নড়াইলে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ভেঙ্গে ফেলা সহ আব্দুল আলী মোড়লের পুত্র হাসিবুল মোড়ল ও রাকিবুল মোড়লকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ
বেদড়ক মারপিট করতে শুরো করেন আইজুদ্দীনের পুত্র লুৎফর মোড়ল,
তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও পুত্র ফরিদ মোড়ল। এছাড়া তাদের উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করিতে থাকে।
তাদের ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে হাসিবুল মোড়ল ও রাকিবুল মোড়লকে উদ্ধার করে।
আব্দুল আলী মোড়লের স্ত্রী রুপিয়া বেগম জানান,আমার স্বামী আব্দুল আলী মোড়লের দীর্ঘ ৭ বছর সেনা বাহিনীতে কাজ করার পরে হঠাৎ করে প্রতিবন্ধী হয়ে পরেন।
তার পর হতে আমার স্বামী বাড়িতে থাকায় ভাসুর লুৎফর মোড়ল বিভিন্ন ভাবে নিজেদের বসতভিটা দখল করিবার পায়তারা করতে থাকেন।
নড়াইলে তৃতীয়বারের মতো ফটো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সম্প্রতি বসতঘরে জমি নিয়ে আমার ছেলে হাসিবুল মোড়ল ও রাকিবুল মোড়লকে মারপিট করে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করেন অভিযুক্তরা।
তালায় প্রতিবন্ধী প্রতিবেশী সামাদ সরদার, সাজেদা বেগম, আশরাফুল ইসলাম বলেন ২৬শে (অক্টোবার) অভিযুক্তরা হাসিবুল ও
রাকিবুলকে বেদড়ক ভাবে মারপিট করে আমরা ঠেকাতে গেলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কথা বলতে ভয় পাই।
নড়াইলে সরকারি অফিসের গোডাউনে রাখা পাইপে আগুন
অভিযুক্ত লুৎফর মোড়লের অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন,আমার সাথে তাদের বসতভিটা নিয়ে ঝামেলা আছে তবে আমরা তাদের মারপিট ও ঘর ভাঙ্গিনি।
খলিলনগর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই রাজিব আলী জানান, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ভুক্তভোগীরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।
Pingback: হারান চন্দ্র পাল মৃত্যুতে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির শোক - দ্যা বাংলা ওয়াল