আগাম শিম চাষে লাভবান নওগাঁর কৃষকরা
আগাম শিম চাষে লাভবান নওগাঁর কৃষকরা। সকালে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা।
পুব আকাশে সূর্য উঠার সাথে সাথে মিলিয়ে যায় ধোঁয়ার মত কুয়াশা। শীতের আড়মোড়া ভেঙ্গে কৃষকরা তাঁদের পরম যতেœর শাক-সবজি উঠাতে মাঠে হাজির।
বাছাই প্রক্রিয়া আর ওজনের পরেই চলে যায় সেগুলি বাজারে। কয়েক হাত ঘুরে অবশেষে এসব শাক-সবজি আসে ক্রেতার কাছে।
ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ । শীতকাল মানেই নানা শাক-সবজির সমাহার।
খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় এবছর আগাম জাতের শিম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
কিশোর সাদাতকে নড়াইল জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা
বন্যার কারণে এবার অন্যান্য শাকসবজির আবাদ কম হলেও আগাম শিমের ফলন ভালো হয়েছে।
শিমের আবাদ কৃষকদের কাছে ভাদরা শিম (ভাদ্র মাসের শিম) নামে পরিচিত। দামেও খুশি কৃষকরা।
সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে শিমের শীষ। আর শীষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা রঙের ফুল। শীষে উঁকি দিচ্ছে শিম।
নওগাঁর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের নতুন শিম। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
তবে, আগাম শিম চাষে লাভের একটা বড় অংশই চলে গেছে পোকা দমনে।
চাষীরা জানালেন, এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে শিম গাছে পোকা এবং পচার আক্রমণ বেশি হচ্ছে।
আগাম জাতের এই শিম চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কীটনাশক কিনতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে আগাম শিমের আবাদ হয়েছে।
আগাম জাতের শিমের মধ্যে কার্তিকা, কাজলা ও চালতা নামে পরিচিত।
কুড়িগ্রামের বাঁশজানি সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশি আটক
সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের শিম চাষী আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমার ৫ কাঠা জমিতে শিম চাষে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
প্রথম কয়েকদিন দুই হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। তবে শিম বেশি ওঠা শুরু হলে দাম পড়ে যায়।
তবুও সর্বনিম্ন ৪০০-৫০০ টাকা মণ বিক্রি হয়।
সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর গ্রামের আকবর আলী বলেন, এবছর আমি ১বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি।
দুই সপ্তাহ আগে ১১০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছি। তবে এখন শিম প্রায় শেষের দিকে। দাম ভালো পেয়েছি। এতে আমি খুশি।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, নওগাঁ জেলায় এবার মোট ৮৮২০ হেক্টর জমিতে
শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬৮২০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ করা হয়েছে। আর ৯১৯ হেক্টর জমিতে।
ধান ও চালের বাজারে সিন্ডিকেট নয়: খাদ্যমন্ত্রী
শিমের আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে আগাম জাতের শিমের আবাদ রয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে।
তিনি আরও জানান, আগাম শিম চাষে শিমে রোগ বালাই কম থাকায় এ বছর ভাল দাম পেয়েছে কৃষকরা। আমরা সবসময়ই কৃষকদের নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি।
আগামীতে এই জেলায় শিমের আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।
Pingback: গংগাচড়া ইউনিয়ন কমিটির পরিচিতি সভা ও শপথ অনুষ্ঠিত - দ্যা বাংলা ওয়াল