দেশব্যাপীপরিবেশ ও সমাজশিরোনামসর্বশেষসব খবর

বেনাপোলে মালিকানা জমি খাস জমি বলে বিতরণের অভিযোগ

বেনাপোলে মালিকানা জমি খাস জমি বলে বিত্তবান পরিবারের মধ্যে বিতরণের অভিযোগ।

বিত্তবান পরিবারের মধ্যে খাস জমি বরাদ্দের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে একজন নায়েব এর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগি একটি পরিবার অভিযোগ করে বলে তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির মামলা চলাকালিন সময় ওই নায়েব কয়েকজনকে বরাদ্দ দিয়েছে।

তাদের নিজেদেরও ৩৭ শতাংশ জমি আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিত্তবান পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া মৌজায় তিন তলা বাড়ি থাকা সত্বেও সেই সব পরিবারকে বরাদ্দ দিয়ে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করেছেন

এই ভুমি কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেছেন বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের একটি পরিবার।

যে কোন সময় ওই জমি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ওই পরিবার।

বেনাপোলে মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক উদ্বোধন

বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের আব্দুর রহমান, মাসুদুর রহমান, মাহবুবুবর রহমান (পিতা আলী আকবর সফি উদ্দিন) অভিযোগ করে বলেন

বেনাপোলে মালিকানা জমি তার পিতা ১৯৭৮ সালে বড় আঁচড়া মৌজায় ছোটআঁচড়া মাঠে গাতিপাড়া গ্রামের রবিউল ও

সামাউল ইসলাম এর নিকট থেকে ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে।

ওই জমি ১৯৭৮ সালের ২৪ মে তারিখে রেজিষ্ট্রি হয়। যার খতিয়ান নং ১১০৩ আর এস নম্বর ৮৭৮, ৯৭৫, ৯৭৩।

১৯৯০ সালে মাঠ জরিপে ওই জমি আমাদের মাঠের পর্চা দিলেও প্রিন্ট পর্চা আমাদের দেয়নি।

এই সুযোগে বেনাপোল ভুমি অফিসের তহশিলদার আবু সাঈদ ৮ জনকে ওই জমি বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে।

সরকারী বিধিমালায় আছে কোন জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলকালে ওই জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।

তারপরও আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আবু সাঈদ সাহেব বড় অংকের অর্থের মাধ্যেমে এ জমি বরাদ্দ দেয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে।

জমির প্রিন্ট পর্চা না পাওয়ায় ওই জমির রেকর্ড সংশোধন মামলা করা হয় ২০১৬ সালে। যার মামলা নং ৫৪/১৬।

উপজেলা চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে পূজা উদযাপন পরিষদের সভা

অভিযোগকারীরা আরো বলে, যে ৮ জন এর নামে জমি বরাদ্দ দিয়েছে তারা সকলে বিত্তশালী ও মধ্যবিত্ত। সকলের পাকা বাড়ি ও জমি আছে।

উল্লেখিত জমি বরাদ্দ যাদের নামে দিয়েছে তারা হলো বেনাপোল পোর্ট থানার গাজিপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে শের আলী,

ছোট আঁচড়া গ্রামের শের আলীর মেয়ে মনোয়ারা খাতুন, একই গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে ছকিনা খাতুন,

বড়আঁচড়া গ্রামের মনির হোসেন এর ছেলে বাবু , নামজগ্রামের আব্দুল কাদের এর ছেলে নুর ইসলাম,

গাতিপাড়া গ্রামের বরকত এর মেয়ে আমেনা খাতুন ও ছোটআচড়া গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী।

এর মধ্যে শের আলীর তিন তলা একটি পাকা বাড়ি রয়েছে এবং অন্যান্য সকলের বাড়ি ও জমি আছে।

আমরা এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ভুমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ এর নামে ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর একটি সাধারন ডায়েরী করেছি। যার নাম্বার ৩২৮।

এছাড়া গত ১৪ জানুয়ারি যশোর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।

বিজ্ঞ আদালত যাতে কোন রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ না হয় তার জন্য ১৪৪ ধারা জারী করেছেন।

তারপরও জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। উল্লেখ্য আমরা ওই ৩৭ শতাংশ জমি ১৯৭৮ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছি।

এ ব্যাপারে বেনাপোল ভুমি অফিসের কর্মকর্তা আবু সাইদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তাদের নামে কোন জমি নেই।

এটা সরকারী খাস জমি। সরকারী বিধি মালা অনুযায়ী ভুমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

/ মোঃ জামাল হোসেন

The Bangla Wall
http://shopno-tv.com/
https://shopnotelevision.wixsite.com/reporters
Shopno Television
Shopno Television
http://shopno-tv.com/

বেনাপোল (যশোর) করেসপনডেন্ট

Md. Jamal Hossain Mobile: 01713-025356 Email: jamalbpl@gmail.com Blood Group: Alternative Mobile No: Benapole ETV Correspondent

One thought on “বেনাপোলে মালিকানা জমি খাস জমি বলে বিতরণের অভিযোগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *