নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা
নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা, কে হচ্ছেন পৌর মেয়র?
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর পৌরসভায় অওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে নবীগঞ্জের চিত্র ভিন্ন।
এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলই একক প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে। যে কারণে নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের ভোট নিজেদের ব্যালট বাক্সেই বন্দি হবে।
বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে লড়বেন একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, দুই প্রার্থীর সাথে সমান তালে লড়ে যাবেন তিনিও।
গত রোববার নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী,
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল এবং
স্বতন্ত্র প্রার্থী নবীগঞ্জ মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন প্রার্থীরই রয়েছে আলাদা ভোট ব্যাংক। যে কারণে লড়াই হবে সমানে সমান।
রাজশাহীর চারঘাটে আইন শৃঙ্খলা কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর যেমন দলীয় ভোটই জয়ের ব্যাপারে বিরাট ভুমিকা রাখবে তেমনি স্বতন্ত্র প্রার্থীরও নিজস্ব একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে।
পরিবহণ নেতা হওয়ার কারণে মাহবুবুল আলম সুমনকে এগিয়ে দিতে পারে পরিবহণ শ্রমিকদের ভোট।
যে কারণে নবীগঞ্জ পৌরসভার সমিকরণ খুবই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে বলে মত তাদের।
নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে কেউ কেউ বলছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের প্রভাব ফেলতে পারে পৌর নির্বাচনে।
যে কারণে হাতছাড়া হতে পারে আওয়ামী লীগের দলীয় ভোট। একই অবস্থা বিএনপিরও, বর্তমান মেয়রের প্রতি অসন্তুষ্ট বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
যে কারণে তারও দলীয় ভোটের একটি বিরাট অংশ নিজের বাক্সে ভরতে পারবেন না।
সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির গ্রুপিংকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে মরিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন।
এই দুই দলের হাতছাড়া হওয়া ভোটগুলো নিজে ক্যাপচার করতে চান। এর জন্য বেশ কৌশলও অবলম্বন করছেন তিনি।
তবে দলগত বিভক্তি নেই সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। তারা বলছেন যে ব্যক্তি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবেন তাকেই ভোট দেবেন তারা।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম সুমন বলেন, লোকাল নির্বাচনে দলিয় প্রার্থী তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না।
হবিগঞ্জে ৩ দিন বন্ধ থাকবে সকল ধরনের পরিবহণ
এখানে জনগণ প্রার্থী দেখেই ভোট দেয়। এছাড়া দলিয় প্রার্থী জনগণের সকল কথা শুনতে পারে না।
সেক্ষেত্রে আমি যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাকেই ভোট দেবে জনগণ। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। যে কারণে দলিয় নেতৃবৃন্দ সবাই আমার পক্ষে কাজ করছেন।
ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে মানুষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এটা বলা যায়, নৌকার জয় কেউ প্রতিহত করতে পারবেন না।
বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমি বিগত ৫ বছরে পৌরসভায় যে উন্নয়ন করেছি পূর্বে তা হয়নি।
যে কারণে আমার কাজ দেখেই জনগণ আমাকে মূল্যায়ন করবে।
Pingback: শাহজাদপুরে মুদারাবা ক্যাশ ওয়াকফ সনদ বিতরণ - দ্যা বাংলা ওয়াল