রামগতি চর বাদাম ইউনিয়নে গৃহহীনদের নতুন জীবনের স্বপ্ন
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের জন্য ১৮৫টি বসতঘর করে দেওয়া হয়েছে।
রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নে যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নেই, এমন ১৮৫ পরিবারের মধ্যে এসব ঘর বিতরণ করা হয়েছে।
ঘর পেয়ে খুশি এলাকার অসহায় মানুষেরা। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
যার জমি আছে ঘর নাই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ এর সুবিধাভোগীরা হচ্ছেন– দুস্থ অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও
উপার্জনে অক্ষম অতি বৃদ্ধ এবং পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই এমন ব্যক্তি। সুবিধাভোগীর থাকতে হবে এক থেকে ১০ শতাংশ জমি।
উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ১৮৫ জন গৃহহীনের জন্য ঘর নির্মিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘর ও টয়লেট নির্দেশনা মোতাবেক নির্মাণ করা হচ্ছে।
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা চেষ্টা করছি ভালোভাবে ঘরগুলো নির্মাণ করার।’‘যেসব মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে,
তারা যে কত খুশি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
চরবাদম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বালাপাড়া গ্রামের পানচাদ বাড়ির আবু জাহের জানান, কোনও রকম একটি ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে বাস করতেন।
টাকাপয়সার অভাবে ঘর করতে পারেননি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট পেতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকবেন। আর কষ্ট হবে না।
তবে চেয়ারম্যান জসীম আমাদের থেকে ঘর বাবদ কোনো টাকা নেইনি।
চরসীতা গ্রামের প্রতিবন্ধী আবদুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেয়া ঘর পেয়েছি চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ঘর দেয়ার বিনিময়ে কোনো টাকা নেয়নি।
এর চেয়ে খুশি আর কী হতে পারি।’ তিনি ঘর পেয়ে খুবই খুশি।
শাহিনুর বেগম বলেন,বিনা টাকায় প্রধানমন্ত্রী দেয়া ঘর পেয়ে আমি খুবই খুশি এক সময় আমার কোনো ঘর ছিলো না।
ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীম আরও জানায়,চর বাদাম বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে সুনামের সহিত দীর্ঘ ২৮ বছর কাজ করে আসছি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দীঘ ৫ বছর জনগনের উন্নয়ন নিয়ে মাঠে ঘাটে কাজ করে যাচ্ছি।
শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়াম্যান হয়েছি,জনগনকে সেবা দিয়েছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এবারোও নৌকা প্রতীক দেয়।
তাহলে বিপুল ভোটে আবারো জয় লাভ করবো।আমার ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১৮৫টি ঘর দিয়েছে,১৮৫ কাপ চা আমি খাইনি।
যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে চেয়ারম্যানি পদত্যাগ করবো। সরকার যে শাস্তি দিবে তা মাথা পেতে নিবো।
একটি কুচক্র মহল ইদানিং ভোট করবে এজন্য তারা অপ্রচারে লিপ্ত। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য অপ্রচারে লিপ্ত আমি এর প্রতিকার চাই। বিচার চাই।
এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা এ অপ্রচার চালাচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৬ ফুট ও প্রস্থ সাড়ে ১৫ ফুট।
ঘরগুলো মেঝে পাকা, সামনে খোলা বারান্দা, আরসিসি পিলার, পাশে ও উপরে টিন দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
রয়েছে টয়লেটের ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা।