সাতক্ষীরার তালায় কুল চাষে আগ্রহ হচ্ছেন কৃষকরা
সাতক্ষীরার তালায় কুল চাষে আগ্রহ হচ্ছেন কৃষকরা।
সাতক্ষীরা জেলা উপজেলায় কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। কম খরচে বেশি লাভ জনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে উপজেলার মাঠ ও অঞ্চলে জুরে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে।
এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে।
মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সাতক্ষীরা জেলার কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয় বেশির ভাগ কুল তালা উপজেলা থেকে সরবরাহ করা হয়।
কৃষকরা মনে করেন কুল চাষ যে কোন জমিতে ও পরিবেশে করা যায় ,উপজেলার মধ্যে পাটকেলঘাটা শাগদাহ, নগরঘাটা, ভৈরব নগর জাতপুর,
আগোলঝাড়া, খলিলনগর এলাকায় ব্যাপক কুলের চাষ করা হয়েছে, কুল চাষীরা লাভবান হচ্ছে সেজন্য কুল চাষে সফলতা পাওয়ার কারনে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা।
তালা অঞ্চলে বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারিকেলি, ঢাকা নাইনটিসহ বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ হচ্ছে।
নড়াইলে চিত্রনায়িকা শাহানূরের শীত বস্ত্র বিতরণ
সাত বছর যাবৎ কুলচাষ করা সফল কুল চাষি মোঃপান্জাব আলী বলেন আমি পাঁচ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কুল চাষ করেছি
এখানে নানা প্রজাতির কুল যেমন বলসুন্দরী, নারকেল, আপেল, কাশ্মীর ও টক জাতের ২৫০ টি মতো কুলগাছ রোপণ করেছি,
৫ বিঘা জমিতে কুল চাষ করে এখন পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকা মত ব্যয় হয়েছে, বাজারদর বর্তমানের মত স্বাভাবিক থাকলে,
প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে, পার্শ্ববর্তী এলাকার কুল চাষী হাবিবুর রহমান ০৪ বিঘা জমিতে, মিঠা বাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেক ৭ বিঘা জমিতে,
নগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চার বিঘা জমিতে, একই গ্রামের আব্দুর রহিম সাত বিঘা জমিতে, কুল চাষ করেছেন এ সকল কুল চাষি বলেন
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কুলের ফালন বৃদ্ধি পেয়েছে, তাছাড়া দামও বেশি এবছর পাইকারি হারে ৮০-৯০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে,
এভাবে যদি বাজার থাকে তাহলে অনেক লাভ হবে।কৃষক খোদাবক্স ও জামু সরদার বলেন এবার আমাদের কুলের বাগানে প্রচুর পরিমানের কুল হয়েছে,
সাতক্ষীরার তালায় কুল চাষে যদি অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টি না হয় তাহলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
যশোরে কপির চারায় কৃষকদের ভাগ্য বদল বিক্রি ৩ লাখ
একাধিক কৃষক বলেন তালা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অধিদপ্তর থেকে, আমাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে,বিনামূল্যে সার ও কুলের চারা প্রদান করেছে।
ধারণা করা যাচ্ছে কুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে জেলার তালা উপজেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন,
উপজেলার এলাকাসমূহে লক্ষণীয় আরো একটি বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে, মৎস্য ঘেরে মাছ চাষের পাশাপাশি কৃষকেরা বাড়তি আয়ের জন্য
ঘেরের বেড়িবাঁধের উপর নানান প্রজাতির কুল চাষ করতে দেখা যাচ্ছে, সেখান থেকেও ভালো লাভবান হচ্ছে
এজন্য ঘেরের ভেড়ীবাদের উপরে কুল চাষ করতে কৃষকদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই।এভাবেও কুল চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা।
তালা উপজেলা কৃষি উপ সহকারী পরিতোষ কুমার বিশ্বাস “দৈনিক সবুজ নিশান,,,কে যানান উপজেলায় সর্বশেষ তথ্য মতে
এবার ১৫৮ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে, প্রদর্শনী প্লাট করে তাদের সার ও বিভিন্ন প্রজাতির কুলের চারা বিনামূল্যে প্রদান করেছি ,
তাছাড়া এ বছরে তালা উপজেলার কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি, এবং সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা, সহায়তা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে।
Pingback: রংপুর কনফিডেন্স সোসাইটির উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন - দ্যা বাংলা ওয়াল