শ্রীপুরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ
শ্রীপুরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ।
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্নসাত ও ভুয়া সনদ দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় চাকুরী নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ হায়দার শ্রীপুরের বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ।
দীর্ঘ ১৯ বছর আগে বিভিন্ন স্কুলে অভিগ্যতার ভুয়া শিক্ষক সনদ দেখিয়ে সহকারী প্রধান হিসেবে যোগদান করেন এ শিক্ষক।
এ স্কুলে যোগদানের আগে তিনি বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এমপিও ভুক্ত হয়ে ১১মাস চাকুরী করেন ।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গাজীপুরের শ্রীপুর বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল অভিগ্যতার ভুয়া সনদ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ১০ বছর পর তিনি এমপিওভুক্ত হন।
বিধি অনুযায়ী এক জন সহকারি প্রধান শিক্ষক হতে কমপক্ষে এমপিওভুক্ত যে কোনো স্কুলে আট বা দশ বছরের অভিগ্যতার
সনদ প্রয়োজন হলেও সহকারি প্রধান শিক্ষক হতে তার ছিল মাত্র ১১ মাসের অভিগ্যতা। দীর্ঘ সময় যাবৎ এমপিও ভোগ করছেন এ শিক্ষক।
স্কুল সূত্রে জানাযায়, সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা কালীন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অর্থ আত্নসাৎ, ম্যানেজিং কমিটিকে অবজ্ঞা,
বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে আ: কুদ্দুছ হায়দারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
শ্রীপুরে ক্যারাভান রোড শো উদ্বোধন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানাযায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালনকালে পনের লক্ষ আটাইশ হাজার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।
এত কিছুর পরেও এখনো তিনি চাকুরীতে বহাল রয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করেই তিনি এমন কান্ড চালাচ্ছেন বলে জানাযায়।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ।
বিভিন্ন স্কুল থেকে ভুয়া অভিগ্যতার সনদ দেখিয়ে বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হলেন আব্দুল কুদ্দুস হায়দার।
নির্ভরসূত্রে জানাযায়, আব্দুল কুদ্দুস পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯৮ সালে বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রজেক্ট সহকারি শিক্ষক হিসেবে জয়েন্ট করেন।
পরে ২০০২ সালের জানুয়ারী মাসে ঐ স্কুলে সহকারি শিক্ষক গণিত হিসেবে এমপিওভুক্ত হন তিনি ।
এমপিওভুক্ত হয়ে মাত্র এগারো মাস শিক্ষকতার সনদ দিয়ে বলদীঘাট জেএম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এ সময় অভিগ্যতার সনদ হিসেবে যৌগিরসিট উচ্চ বিদ্যালয় ও টেংরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সহ
বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত হয়ে শিক্ষকতা করার ভুয়া অভিগ্যতার সনদ সংযুক্ত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় টেংরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও যৌগিরসীট উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি কখনোই শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন না ।
বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ফকির বলেন কুদ্দুস মাস্টার আমাদের সাথে প্রথমে প্রজেক্ট শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হন ।
এর পর সহকারি শিক্ষক (গণিত) হিসেবে এমপিও ভুক্ত হয়ে এখানে মাত্র বছর এক ছিলেন। তিনি ২০০২ ইং সালের ৪আগস্ট রিজাইন দিয়ে চলে যান।
অভিযুক্ত শিক্ষক আ: কুদ্দুছ হায়দার বলেন, আমার নিয়োগ ও সনদ সঠিক।
রাজধানীর ঢাকা জেলার সাভারে লাশ উদ্ধার
তবে, কেন আপনার নিয়োগ অবৈধ বলা হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন ভাই আপনারাও তো কোনো না কোনো শিক্ষকের ছাত্র। বাদ দেন না এসব কথা !
এ বিষয়ে বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ মাস্টার বলেন, আব্দুল কুদ্দুছ হায়দারের নিয়োগ এ জটিলতা রয়েছে।
বিভিন্ন স্কুলে অভিগ্যতা উল্লেখ করে তিনি যোগদান করেন অত্র স্কুলে। তদন্ত্য করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।
বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল হক বলেন, আব্দুল কুদ্দুছ মাস্টার নিয়োগ জটিলতা আছে কিনা বলতে পারছিনা।
তা খতিয়ে দেখলে বলা যাবে। তবে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রায় পনের লক্ষ আটাইশ হাজার টাকা
বিদ্যালয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।
এর সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেন নাই ।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আমীন বলেন, এ স্কুল নিয়ে জামেলা চলছে। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে জেনেছি ।
সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হতে কত বছর অভিঙ্গতা লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ৮-১০ অভিঙ্গতা প্রয়োজন হয়।
নিয়োগে কোনো জটিলতা থাকলে তদন্ত্য সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
Pingback: শ্রীপুরে অন্ধ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৫শত কম্বল বিতরণ - দ্যা বাংলা ওয়াল