শ্রীপুরে ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ, যুবকের আত্মহত্যা?
শ্রীপুরে ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ, যুবকের বিষপানে আত্মহত্যা?
বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) প্রিদিমের ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি দিতে পারেননি ঋণগ্রহীতা এক যুবক। কিস্তি আদায়কারী তাঁকে বারবার চাপ প্রয়োগ করেন।
এতে আত্মসম্মানে আঘাত লাগায় ওই যুবক বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন।
ঐ যুবকের নাম রুবেল মিয়া (৩৫)। শনিবার (১লা মে) বিকেলে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ডোমবাড়ীচালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। তার পায়ের আঙ্গুল না থাকায় তিনি শারীরিক ভাবে কিছুটা কর্মহীন ছিলেন।
শ্রম বিক্রির হাট এরা বিক্রি হন দিন, সপ্তাহ কিংবা মাস চুক্তিতে
নিহতের স্ত্রী সেলিনা খাতুনের থানায় দেয়া আবেদন সূত্রে জানা যায়, সাংসারিক বিভিন্ন অভাব অনটনের জন্য
আমার স্বামী প্রিদিম সমিতি হতে ২২ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সংসারের আয় না থাকায় যথা সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না।
কিন্তু সমিতির লোকজন কিস্তি পরিশোধের জন্য আমার স্বামীকে তাগিদে দিতে থাকে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, কিস্তি পরিশোধের চাপে দুপুরের দিকে বাড়িতে বিষপান করেন।
পরে তাকে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।
নড়াইলে পুনঃবাসিত ভিক্ষুকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ
সেখানে তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পথে ভালুকা নামক স্থানে মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) জিন্নাহ বলেন, কাজকাম করতে না পারায় কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না রুবেল।
শনিবার টাকা দেয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু জোগাড় করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
শ্রীপুরে ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে নিহতের স্বজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক ভাবে অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Pingback: শ্রীপুরে সিআরসি কারখানায় অগ্নিকান্ড - দ্যা বাংলা ওয়াল