পাবনায় অটোচালক সেলিম হত্যার রহস্য উদঘাটন

পাবনায় অটোচালক সেলিম হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৫ জন।

পাবনায় এক অটোরিকশা চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও মাথা জখম এবং পায়ের রগ কাটার পাশাপাশি ভিকটিমের অন্ডকোষ কেটে

হত্যার ৭২ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অটোরিকশা উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরের নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার মোহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, পুলিশি তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়।

গত ১২ জুন ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা জেলার ধামরাই থানার নওগাঁ বাজারের জনৈক বক্করের ইটভাটা থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাঁথিয়া থানার ছোন্দহ এলাকার মোঃ সাঈদ মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন,

বহালবাড়িয়া পূর্বপাড়ার মোঃ সোলেমান শেখের ছেলে মোঃ রানা শেখ ও

একই এলাকার মো: আল আমিনের স্ত্রী মোছাঃ শীলা খাতুন, মোঃ হোসেন আলী এবং আতাইকুলার মো: দেলোয়ার হোসেন।

পুলিশ সুপার আরো জানান, পুর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা ঘটনার দিন গত ৯ জুন বিকাল ৫টার সময় মাহমুদপুর বাজারে একত্রিত হয়।

সেখান থেকে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে ভিকটিম সেলিমকে মাহামুদপুর বাজারে আসতে বলে।

সেলিম মাহামুদপুর বাজারে আসলে আসামী রাসেল, রানা, আল আমিন, সাগর এবং হোসেন ভিকটিম সেলিমের ইজিবাইকে করে

বহালবাড়ীয়ার কালুকাটা নামক স্থানে যায়। সেখানে ইজিবাইকটি মোড়ের উপর রেখে কালুকাটা চকে আইলের উপর বসে গাজা সেবন করতে থাকে।

পরে রাত ৯টার দিকে ভিকটিম সেলিম নেশাগ্রস্থ হয়ে পরলে ধারালো চাকু এবং হাতুড়ি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে সেলিমকে হত্যা করা হয়।

পরে আসামিরা ইজিবাইকটি নিয়ে ওইদিন রাতে আতাইকুলা বাজারে যায় এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে

স্থানীয় ভাঙারি দোকানদার দেলোয়ারের নিকট ৩১ হাজার ৫০০ টাকায় ইজিবাইকটি বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।

পাবনায় অটোচালক সেলিম হত্যার এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ তৎপর হয় এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান,

অতিরিক্ত পুলিশ সপুার মোঃ শরীফুল ইসলাম, সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম প্রমুখ।