বদলি হয়ে গেলেন নড়াইলের হিতৈষী পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী
বদলি হয়ে গেলেন নড়াইলের হিতৈষী পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী নাথ,আবেগআছন্ন সাধারন মানুষ।
নড়াইল জেলাকে দীর্ঘদিন ধরে মাদক দ্রব্য মুক্ত রাখতে নিরলসভাবে যিনি চেষ্টা করেছেন সেই ইনেসপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারী নাথ
নড়াইল থেকে বদলি হয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ অঞ্চলে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
একই সাথে তিনি একজন স্বনামধন্য কবি, নাট্যবোদ্ধা, অসাধারণ মটিভেশনাল বক্তা, আবৃত্তিকার এবং সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সংস্কৃতিকর্মী।
তাই মিষ্টভাষা দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে তরুণ যুবকদের সচেতন করে মাদক-অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই সফলও হয়েছেন।
কোন সমাজ থেকে মাদককে সম্পূর্ণ নির্মূল করা অসম্ভব।
তবে স্বাভাবিক রাখতে যতটা সক্ষম সচেতনতা দরকার, তার সবটা দিয়েই তিনি নিবেদিত ভাবে নড়াইলের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।
মাদকের বিরুদ্ধে আর কোন সরকারি কর্মকর্তাকে ইতোপূর্বে এত নিবেদিত ভাবে কাজ করতে দেখা যায়নি।
নড়াইলের ইতিহাসে ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারী নাথ সর্বাপেক্ষা বড় ইয়াবার চালান আটকে দিয়ে আসামির সাজা নিশ্চিত করেছেন।
ফেনসিডিল সম্রাট সাংবাদিক উজ্জ্বল রায়ের ফেনসিডিল ও গাঁজা জব্দ করেন,
মাদক বিক্রয়ের উনিশ লাখেরও বেশি টাকা বায়েযাপ্ত করে সরকারের কোষাগারে জমা করেন।
নড়াইলের ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বড় মাদক বিরধী র্যালীর আয়োাজন করে।
নড়াইল বাসিকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলেন এবং প্রশংসা অর্জন করেন।
ভালুকার মাধ্যমিক শিক্ষকদের ৫দিন ব্যাপী কর্মশালা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সন্তানদের মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের সদা সতর্ক রাখার চেষ্টা করে গেছেন বিগত সাড়ে তিন বছর।
নড়াইলকে সর্বপ্রথম জেলা হিসেবে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয়ে ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারী নাথ ছিলেন অবিচল সংকল্পবদ্ধ একজন মানুষ।
সেই কারণে নড়াইল জেলার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার
অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি হিসেবে বিদ্যুৎ বিহারী নাথ নড়াইল জেলায় সুবিদিত ছিলেন।
এদিকে সরকারি বদলির আদেশ আসলে নড়াইলের সাংষ্কৃতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে প্রতিটা সাধারন মানুষ আবেগআছন্ন হয়ে পড়েছে।
ইবিতে লেখাপড়া বন্ধ: খুলছে নতুন বিভাগ, বাণিজ্যের অভিযোগ
বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে ,বিদ্যুৎ বিহারী নাথ নড়াইলে আসার পর থেকে তার কাজ ও মিষ্টিভাষা আর
ব্যবহারে অনেক মাদক ব্যবসায়ী মাদক থেকে দুরে সরে গেছে আবার কেউ মাদক সেবন বন্ধ করে কাজকর্ম করে সুস্থ জীবন যাবন করছেন,
আবার কেউ মাদকসহ ধরা পড়লে শাস্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে আর কোনোদিন মাদক কারবার করেনি।
বদলি হয়ে গেলেন নড়াইলের এমন একজন সৎ অফিসারকে নড়াইলের মানুষ হারাতে চান না।
এখন যেখানে যাচ্ছেন সেখানে যদি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করতে পারেন তাহলে হয়তো গোটা দেশকে
ইয়াবা নামক ভয়াবহ রোগ থেকে যুবসমাজকে মুক্ত রাখা অনেকাংশে সম্ভব হবে।
কক্সবাজার এবং টেকনাফ থেকে মাদকের বড় বড় চালান সারাদেশে চালান হয়।
সেখানেই থেকে যদি তিনি নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর শাস্তি বিধান করে চালান আটক ও বন্ধ করার পক্ষে
কঠোর অবস্থানে অবিচল থাকেন তাহলে এর সুফল সারাদেশ ভোগ করবে এমনটাই প্রত্যাশা জেলার সাধারন মানুষের।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: র্যাব-১২'র অভিযানে নারীসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: রংপুর জেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৭১৫ পরিবার পাচ্ছে পাকা ঘর - দ্যা বাংলা ওয়াল