দেশব্যাপীবিশেষ প্রতিবেদনজীবনশৈলীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা : ভ্যাকসিনের আওতায় আনার দাবি।

করোনাকালীন সময়ে স্বাভাবিক আছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য বিধি না মানতে পারায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরে কাজ করছে কয়েক হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক।

শ্রমিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের দাবি বেনাপোল বন্দরের সকল শ্রমিককে ভ্যাকসিনের আওতায় দ্রæত আনা হোক।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার।

সরকারের বিধিনিষেধ ঘোষণার মধ্যেও বেনাপোল স্থলবন্দর খোলা রাখা বিষয়ে নির্দেশনা ছিল,

কিন্তু শ্রমিকদের বেশিরভাগ সময় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের পাশে থেকে কাজ করতে হয়।

এতে তাদের শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পরে। ফলে তাদের আক্রান্তের হার বাড়তে পারে,

এজন্য সরকারিভাবে করোনা টেস্ট করানো এবং একই সঙ্গে তাদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার দাবি জানান শ্রমিক ও নেতারা।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে মোট দুই হাজার শ্রমিক পণ্য ওঠা ও নামানোর কাজ করে। তাছাড়া চেকপোস্টে রয়েছে প্রায় দুইশ‘ শ্রমিক (কুলি)।

পাবনায় পুলিশের ‘মাস্কআপ পাবনা’ নামে প্রচার অভিযান শুরু

বন্দরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দুই দেশের পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপারদের মধ্যে নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা।

ফলে সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ট্রাকচালক হেলপার, সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও

পণ্য খালাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হ্যান্ডেলিং শ্রমিকসহ ১০ হাজার মানুষ।

ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক চালকরা সরাসরি প্রবেশ করছেন বেনাপোল বন্দরে।

বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। নতুর করে দেখা দিয়েছে ভেরিয়েন্ট।

ভেরিয়েন্ট ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা জরুরি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে সরকার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে।

এই বন্দরে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের কাছাকাছি থেকে কাজ করে।

এই করোনা মহামারীতে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরে কাজ করে।

শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি, বন্দরে কর্মরত সকল শ্রমিকদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হোক।

চেকপোস্টে কর্মরত শ্রমিকরা (কুলি) বলেন, আমরা প্রায় ২০০ জন শ্রমিক দীর্ঘ দেড় বছর যাবত বেনাপোল চেকপোস্টে

পাসপোর্টযাত্রীদের ব্যাগেজ আনা নেওয়া করে থাকি। এর মধ্যে করোনা রোগীসহ বিভিন্ন রোগীদের ব্যাগেজ নিতে হয় কাধে।

পাবনা মালঞ্চি সাবেক চেয়ারম্যান কাকন আর নাই

আমরা এখনো কোন ভ্যাকসিন পায়নি। কাজের শেষে বাসায় যাই সেখানেও কোন সুরক্ষা নেই আমাদের।

আমাদের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। আমাদের অবিলম্বে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হোক।

বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (৯২৫) সাধারন সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান,

মহামারি করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের শ্রমিকরা বন্দরকে সচল রেখেছেন। সরকারের রাজস্ব খাতে বড় ভূমিকা পালন করছে শ্রমিকরা।

পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভেরিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার কারনে বেনাপোল স্থলবন্দরে সংক্রামন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বেনাপোল বন্দরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দুই দেশের পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপারদের মধ্যে নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা।

ফলে সংক্রমণ ঝুঁকিতে ট্রাকচালক, হেলপার ও পণ্য খালাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হ্যান্ডলিং শ্রমিকসহ ১০ হাজার মানুষ।

সরকারের কাছে দাবি, বন্দর স্বাভাবিক রাখতে বন্দরে কর্মরত সকল শ্রমিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হোক।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন,

ভারতের ভেরিয়েন্ট যে ভাবে দেখা দিয়েছে সেটা সীমান্ত ও বন্দর এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

করোনার মধ্যে সরকারের রাজস্ব আদায়ে যারা প্রথম সারিতে থেকে কাজ করছে সিএন্ডএফ এজেন্টস মালিক, কর্মচারী ও বন্দরের শ্রমিকরা।

তাদের দ্রæত ভ্যাকসিনের আওতায় এনে টিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান,

কয়েকদিন আগে বন্দরে করোনা প্রতিরোধ এক সভায় বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছিল।

তিনি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

/ মোঃ জামাল হোসেন

http://shopno-tv.com, http://thebanglawall.com
প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।
http://shopno-tv.com/
http://shopno-tv.com/
http://shopno-tv.com/

বেনাপোল (যশোর) করেসপনডেন্ট

Md. Jamal Hossain Mobile: 01713-025356 Email: jamalbpl@gmail.com Blood Group: Alternative Mobile No: Benapole ETV Correspondent

One thought on “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *