নদীর গর্ভে বিলিন মসজিদ ভাঙ্গন আতঙ্কে গ্রামের মানুষ
নদীর গর্ভে বিলিন মসজিদ, ভাঙ্গন আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।
রংপুরে দিন দিন বেড়েই চলচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। সেই সঙ্গে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে মসজিদসহ ২ শত ঘর-বাড়ি।
তিস্তা নদীর তীরে মসজিদ ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করলেও সেটিতেও ব্যর্থ হচ্ছে তারা।
ফলে দিন দিন নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে ভুগছে নদীর বুকে থাকা অসহায় পরিবার গুলো।
স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক সময়ে যদি বাঁধ নির্মান করা হয় তাহলে রক্ষা হবে আমাদের বসত বাড়ি-ঘরসহ মসজিদ মাদ্রাসা।
তাদের দাবী জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধকে রক্ষা করলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে অনেক পরিবার বেঁছে যেতে পারে।
রোববার সকালে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার কোলকন্দ ইউনিয়নের পূর্ব বিনবিনার চর ও পশ্চিম বিনবিনার চরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,
গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার তিস্তার তান্ডবে প্রায় দেড়’শ মিটার এলাকা ভেঙ্গে গেছে। নদী গর্ভে বিলিন হয় একটি মসজিদ।
ভাঙ্গনের মুখে আছে একটি মাদ্রাসা। যে কোন মুহুর্তে এই মাদ্রাসাটিও নদী গর্ভে নিশ্চিন্ন হতে পারে।
তাই স্থানীয়রা মাদ্রাসাটি রক্ষায় বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিদিনের সংবাদকে জানিয়েছেন,
রোববার দুপুর পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৪ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভাঙ্গনের কবলে পড়া মসজিদের সাবেক সভাপতি রহুল আমীন বলেন, ‘মসজিদটা ছিল নদীর ওই পাড়ে।
ঝিকরগাছায় যাচ্ছি বলে নিখোঁজ মটর ভ্যান চালক আলমগীর
মসজিদটা ভাটির চরে থাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। ফলে মসজিদটি নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে আর ধরে রাখা সম্ভব হলো না।
এখন আর আমরা গ্রামের মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে পারবো না। পূর্ব দিকে বিনবিনার চরের সোলায়মান মিয়া নামে এক কৃষক জানান,
‘যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হইছে তাতে আর একটু পানি বাড়লে এবং বাঁধের দুই’শ মিটার ভাঙ্গলে এই গ্রামটা আর থাকবে না।
এছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১২টি খুটি ও ’অনেক বাড়ি চলে গেছে, মসজিদ চলে গেছে,মাদ্রাসাটিও চলে যাবে। আমরা নিশ্চিন্ন হয়ে যাবো।
এখনই পানির গতিপথ বদলাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যাগ নেয়ার দাবী করেন জানাচ্ছি।
ওই এলাকার আলতার হোসেন বলেন, ভাঙ্গন উদ্ধার করতে গেলে, বাঁশ গাড়ি বাধ দিয়ে জিও ব্যাগ দিলে গ্রামটা আটকানো যাইবে।
নদীর গর্ভে বিলিন মসজিদ পরশু থেকে ভাঙ্গন শুরু হইছে, চোখের সামনে মসজিদটা ভাঙ্গে গেল।
ভাঙ্গনের কবলে পড়া মাদ্রাসাটি দেখিয়ে তৈয়ব আলী বলেন, এই মাদ্রাসাত গ্রামের (ছেলে মেয়ে) সকালে মোক্তব পড়তে যেতো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মূখ্যমন্ত্রীকে আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
এই মাদরাসাটা রক্ষা করার জন্য আমরা কিছু লোক বস্তা খুঁজি এনে দিছি। বাঁশটাশ দিয়ে ও কিছু জিও বস্তা দিলে গ্রামটা রক্ষা পাইবে।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহারাব আলী রাজু বলেন, অনেক আগে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি তারা আজ থেকে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন।
এবং তারা আমাকে এটাও বলেছে দুচারদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে এলাকাপরিদর্শনে আসবেন।
তিনি আরো বলেন, বিনবিনার চর এলাকায় ইতোমধ্যে ৬’শ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।
এছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১২টি খুটি (পোল) সহ আবাদি জমি ২০ থেকে ২৫ একর আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।
তিনি বলেন, দ্রর্ত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, বলেন বাঁধ নির্মানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মান কাজ শেষ হবে।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: তালা প্রেসক্লাবের কার্য্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত - দ্যা বাংলা ওয়াল