তালায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বিয়ে
তালায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো দশম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে।
সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
সে সেনেরগাতি গালর্স স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় গোপন তথ্যে জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির
প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমান বাবলা তাৎক্ষণিক জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অবগত করলে
তালা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যান ও সচিবের মাধ্যম মৌখিকভাবে প্রতিরোধ করেন।
বেনাপোলে শোক দিবস : মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড
গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওসিসি প্রোগ্রাম অফিসার মো: আব্দুল হাই সিদ্দিককে নিয়ে ঐ ছাত্রীর বাড়িতে যান মো: সাকিবুর রহমান।
এসময়ে বিবাহের সত্যতা স্বীকার করে ঐ কন্যা ও তার পরিবার। ঐ কিশোরী ও তার মাতা ফতেমা স্বীকারে বলেন,
গত ১৩ আগস্ট রাতে পার্শ্ববর্তী মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার মো: সিরাজুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা রেজিস্ট্রি ফি দিয়ে ৪ লাখ দেনমোহর ধার্য করে
ঐ রাতে একই ইউনিয়নের সারসা গ্রামের মো: হাফিজুর রহমান শেখের ছেলে মো: আবুজার হোসেনের (২৩) সাথে বিবাহ পড়ান।
সাভার উপজেলায় ১৫ আগস্ট দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত
তালায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার এসময় মেয়ের জন্ম সনদে দেখেন, তার বয়স ১৬ বছর ১মাস।
এ সুত্র ধরে ১৬ আগস্ট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়।
এসময় তারা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
পরে ছাত্রীর পিতা মো: আরিজুল ইসলাম শেখ, মাতা খালেদা বেগম, ছেলে মো: আবুজার হোসেন ও ছেলের পিতা মো: হাফিজুর রহমান শেখ মেয়েকে
১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না বলে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেয়।
Pingback: রাজশাহীতে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ ও মানববন্ধন - দ্যা বাংলা ওয়াল