কালিগঞ্জে ইউপি সদস্যর পিটুনিতে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আহত ২
কালিগঞ্জে ইউপি সদস্যর পিটুনিতে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আহত ২।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সরকারি খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলার জন্য
এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছে এক ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা।
আহত ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন, উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস গাজীর ছেলে
ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম।
ইউপি সদস্যর ভয়ে আল্লাহর কাছে বিচার চাইলেও থানায় আসতে সাহস পাননি তারা।
উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোমরপুর বাজার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান,গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার সময় প্রকাশ্য বাজারে ডেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তার ভাই সফিকুল ইসলামকে
বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মেম্বর সিরাজুল ইসলাম তার ভাই মহিদুল ইসলাম, ময়না এবং জিয়াউর।
জামায়াতের ক্যাডার ওসি খ্যাত ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরকারি খাল হতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ব্যবসার জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিল।
এসময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার উপস্থিত লোকজনের নিকট জানতে চায় কে বালু উত্তোলন করেছে।
ঐ সময় অনেকের মধ্যে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম এর নাম বলেন।
রাজশাহীতে সেনা সদস্যের আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
এ সংক্রান্ত বিষয় গত শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। প্রাকাশিত সংবাদ দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম।
গত শুক্রবার সকাল ৮টার সময় প্রকাশ্য বাজারে ডেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তার ভাই সফিকুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মারপিট, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ঘের দখল, চর দখল, ঘেরা কাটা ও
বেড়া কাটা ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামের নিত্য নতুন কাজ।তার এলাকার একজন ধনকুব ঘের ব্যবসায়ী জনৈক রফিকুল ইসলামের টাকায়
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অঘোষিত জামাতের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই ইউপি সদস্য।
থানার ওসির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সালিশ বিচারের নামে আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে তিনি।
লোকজনের নিকট বিশ্বাস অর্জনের জন্য হাট বাজারে বসে লোকজনের সম্মুখে লাউড স্পিকারে থানার ওসির সাথে কথা বলেন।
যাতে করে সবাই মনে করে সিরাজুল মেম্বার ওসি সাহেবের নিজের লোক।
তালায় সুনাম কমিটির মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত
প্রতিনিয়ত সময় – অসময়ে বিভিন্ন ব্যাগে উপঢৌকনে নিয়ে থানার ভিতরে প্রবেশ করতেও দেখা যায় ইউপি সদস্য সিরাজুলকে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর চৌমুহুনী বাজারে অবস্থিত নাবিলা মোটর শোরুমে তার দুই ক্যাডার নুরুদ্দিন ও বাবর আলীকে মোটরসাইকেল বাকি আনতে পাঠায় ইউপি সদস্য সিরাজুল ।
বাকিতে মোটরসাইকেল না দেওয়ায় মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ হত্যার হুমকি দেন তিনি ।
তবে এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নিকট জানতে চাইলে তিনি ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে চেনেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য শেখ সিরাজুল ইসলাম বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের শেখ আব্দুল গনির ছেলে।
তিনি জামাতের একজন দুধর্ষ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালে দেশবিরোধী সহিংসতায় মুখ্য ভূমিকায় ছিল।
কালিগঞ্জে ইউপি সদস্যর পিটুনিতে তার অগ্রনি ভূমিকা ঐসময় তার ভয়ে মুখ খুলতে কেউ সাহস পেত না।
সহিংসতা পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পরে ভোলপাল্টে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
বিষয়টি জানতে বিষ্ণুপুর ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Pingback: যশোর বেনাপোল সড়কে দাঁড়িয়ে মৃত্যুদূত শতবর্ষী গাছ - দ্যা বাংলা ওয়াল