শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা ; বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বিবৃতি
শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলা ; রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বিবৃতি।
৩১ অক্টোবর রবিবার শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলা ও রাজশাহী বর্তমানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, রাজশাহীর তরুণ সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার স্বপক্ষে গড়ে ওঠা রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব’র আয়োজনে
“দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেয়া মামলা প্রত্যাহার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বক্তব্য প্রদানকারী ও
দূর্ণীতিবাজ দুই কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে প্রশাসনের অনুমতি স্বাপেক্ষে ৩১ অক্টোবর নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে
এক সাংবাদিক নেতার ন্যাক্কার জনক হামলা ও হামলা পরবর্তী আরেক সাংবাদিক নেতার উস্কানিতে ৫ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে
জনভোগান্তী করায় আমরা তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় মেয়র ও
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলকে মূল ঘটনাটি আরও সুক্ষ্মভাবে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে রাজশাহী মহানগরীর সর্বসাধারনের মনে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে,
স্বভাবতই আমাদের মনেও একই কৌতুহল ও প্রশ্নেগুলো-ই নাড়া দিচ্ছে।
শাহজাদপুরে ব্যবসায়ীকে মেরে পুকুরে ফেলার অভিযোগ
প্রশ্ন গুলো হচ্ছেঃ
১) প্রকৃতপক্ষে ৩১ অক্টোবর কি ঘটনা ঘটেছিল?
২) কি উদ্দেশ্যে মানববন্ধনের আয়োজন?
৩) কারা ছিলেন এই মানববন্ধনে ?
৪) কারা এই মানববন্ধন বন্ধ করতে হামলা চালিয়েছেন?
৫) তারা কি উদ্দেশ্যে মানববন্ধন বন্ধ করতে এসেছিলেন ?
৬) যারা মানববন্ধন বন্ধ করতে এসেছিলেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি ?
৭) মানব বন্ধনে হামলাকারীদের পেছনে শান্তিপূর্ণ রাজশাহী নগরীকে উত্তপ্ত করতে দেশবিরোধী বড় কোন মহলের ইন্ধন আছে কি না ?
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তরঃ
দুটি ইস্যু নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদ ও
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটুক্তিকারি ও সাংবাদিকের নামে মামলা প্রদানকারী দুই সরকারী কর্মকর্তার বিচার দাবি।
কিন্ত এই মানববন্ধন বন্ধ করতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য প্রদানকারী ও মামলা প্রদানকারী দুই কর্মকর্তার পক্ষে একজন সাংবাদিক নেতা তার
সহযোগীদের নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন এবং মানববন্ধন বন্ধ করতে নির্দেশ দেন; আয়োজনকারীরা মানববন্ধন বন্ধ না করলে তিনি হামলা চালান।
এরপর মানববন্ধনে আহতদের নিয়ে উপস্থিত জনতা রামেক হাসপাতালে গেলে ঘটনাস্থলে আরেক সাংবাদিক নেতা উপস্থিত হয়ে সড়ক অবরোধের উস্কানি দেন।
সারাদিন সড়ক অবরোধের ফলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয় এবং শান্তির নগরী উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এই মানববন্ধনের আয়োজক রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব। সাথে ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের চারটি সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় পর্যায়ের চার সংগঠন হলোঃ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) রাজশাহী জেলা শাখা,
রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী জেলা শাখা, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন (আইএইচসিআরএফ)
রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি ও বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটি রাজশাহী জেলা কমিটি।
সমর্থন জানিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছিলেন জাতীর সূর্য সন্তান দুই বীরমু্ক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, চিকিৎসক ও সুশীল সমাজের একাংশ।
সাতক্ষীরায় ৫রুটে বাস বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে যাত্রীরা
মানববন্ধনে হামলাকারি রফিকুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠের রাজশাহী প্রতিনিধি ও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি,
যিনি দূর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিএনপি নেতা তারেক জিয়া ও এডভোকেট নাদিম মোস্তফার মদদ পুষ্ট হয়ে
রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু’র দৈনিক নতুন প্রভাতে তার সাংবাদিকতা শুরু।
এরপর দূর্গাপুরের মোসলেম উদ্দিন সাইকেল মেকানিকের ছেলেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পেছনে, চুরি করে পোড়া রফিক নাম,
কোম্পানীর মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে চাকরি হারানো লোকটি এখন অবৈধ টাকা, সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজশাহী শহরে।
মানববন্ধন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সারাদিন শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা আর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনকারী
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মনের অপসারণ চাওয়া অপর সাংবাদিক নেতা হলেন মোহনা টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি ও
রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামল মেহেদী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জামাত শিবির সংশ্লিষ্টতার ;
রয়েছে রাষ্ট্রোবিরোধী নাশকতা মামলা।
সম্প্রতি সরকারি অনুদানের এক হাজার কেজি চাল আত্মসাতের খবরটিও ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে।
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও দূর্নীতিবাজ দুই কর্মকর্তাকে বাঁচাতে এবং শান্তির নগরী রাজশাহীকে অশান্ত ও উত্তপ্ত করতেই রফিকুল গং
শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা এই ন্যাক্কার জনক হামলা চালিয়েছেন। পেছনে ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটি বড় মহলের ইন্ধন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ৩ রা নভেম্বর স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে জেলখানার নির্জন প্রকোষ্ঠে শহীদ রাজশাহীবাসীর অহংকার
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান রাজশাহী নগরীর সর্বোচ্চ অভিভাবক নগরপিতা মাননীয় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়ের
সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা আপনার কাছে আকূল আবেদন জানাচ্ছি, নগরীর শান্তি শৃংখলা রক্ষা এবং
স্বাধীনতা বিরোধী শকুনের কালো ছায়া দূর করতে উদ্ভুত পরিস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করুন।
মানববন্ধন ও জনসমাবেশ করা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নাগরিক অধিকার, যারা মানববন্ধনে নেতৃত্ব দিয়েছেন
তারা প্রত্যেকে-ই সরকার অনুমোদিত তালিকাভূক্ত জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব পরিচ্ছন্ন চিন্তার ধ্যান ধারনা নিয়ে এবং
জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকা নিয়ে তরুন সাংবাদিকদের স্বপ্ন-সাহসের একটি সংগঠনের নাম।
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব কোন ভূঁইফোড় প্রেসক্লাব নয় ; স্বাধীনতার স্বপক্ষের একটি সুশীল চিন্তার বাহক সংগঠন।
আমাদের পেছনেও রয়েছে রাজশাহীর সুশীল সমাজের একটি বড় অংশের সমর্থন।
Pingback: লোহাগড়ায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী গণধর্ষণের অভিযোগ মামলা গ্রেপ্তার - দ্যা বাংলা ওয়াল