চারঘাটে বেড়েই চলেছে করোনা রোগী, প্রশাসনের নজরদারী
চারঘাটে বেড়েই চলেছে করোনা রোগী, প্রশাসনের কার্যকর নজরদারী। রাজশাহীর চারঘাটে লকডাউন শিথিলে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৩৮ টি রোগী শণাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ২ জন রোগী।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র অফিস সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৭ মে চারঘাটের মিয়াপুর গ্রামে আবুল মন্ডলের স্ত্রী ঢাকা ফেরত সাবেরা বেগম (৫০) প্রথম সণাক্ত করোনা হন।
পর্যায়ক্রমে করোনায় আক্রান্ত হন পৌরসভারসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১শত ৩৮ জন।
এছাড়াও স্ব-পরিবারে উপজেলা চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কর্মব্যস্ততায় অসচেতনতার কারনে উপজেলায় করোনা সংক্রামন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।
নড়াইলে আসামী উপহার পেলেন জায়নামাজ ও ফুলের তোড়া
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে দেশব্যাপি লক ডাউন শিথীল করা হয়।
যাতে করে কর্মজীবি মানুষেরা জীবন ও জীবিকা দুটোই সমানতালে করতে পারে।
ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলার সরকারী-বেসরকারী অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,
হাট-বাজার ও পরিবহন চালু হয়। উপজেলাবাসী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যাশায় প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে ও
দৈনন্দিন কাজের জন্য বাড়ির বাইরে বের হতে শুরু করে।
স্বাভাবিক জীবনের ন্যায় উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে, হাটে বাজারের চায়ের দোকানে অহেতুক আড্ডায় মেতে উটে।
অথচ স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা,
নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ করা অত্যাবশক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে উপজেলার বিভিন্ন বাজারঘাট যেমন সারদা বাজার, চারঘাট বাজার, নন্দনগাছি বাজার ও
কাকঁড়ামারি বাজারে কেনাকাটা, পাড়ায় পাড়ায় ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে রাতভর আড্ডা।
বাস, ভ্যান ও সিএনজিতে সরকারী বিধি অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকলেও তা কেউ মানছেন না।
মাস্ক না পড়ে মানুষের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা আটক-৪
করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের শুরু থেকে প্রশাসনের তৎপরতায় লকডাউন কড়াকড়ি ছিল।
সাধারনত মানুষজন অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতো না।
কিন্তু লকডাউন শিথীল হওয়ার পরে রেডজোন চিহ্নিত ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে অবাধে লোকজন ফেরত আসতে শুরু করে।
বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবগুলোতে ছুটিতে এসে সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী হুমকোয়ারেন্টাইনে না থেকে
অবাধে বিচরণ করতে দেখা গেছে পাড়া-মহল্লা, বাজার ও রাস্তাঘাটে।
দেখা মিলছে না প্রশাসনের নজরদারি ও করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে।
তবে এলাকাবাসী জানান, কোন কোন সময় বাজারঘাটে নামমাত্র ভ্রাম্যমান দেখা গেলেও প্রশাসন কঠোর না হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রামন।
স্থানীয় প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কঠোরতা অবলম্বন না করলে ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে ব্যক্ত করেন স্থানীয় জনসচেতনমহল।
বেনাপোল সীমান্তে ওয়ান শুটার গান-গুলি উদ্ধার
স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: আশিকুর রহমান বলেন, করোনা পজিটিভ পাওয়া সকল রোগী হুম আইসোলেশানে আছে।
প্রতিবেশিদের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। বাড়ি থেকে প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সুস্থ আছে।
এই কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, করোনা প্রতিরোধ ও জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালনের জন্য
ব্যবসায়ীদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
চারঘাটে বেড়েই চলেছে করোনা রোগী, তাই ”নো মাস্ক নো সেল্স” স্লোগানকে সামনে রেখে
মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতাকে পন্য বিক্রয় না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক হার্ডলাইনে না গিয়ে সচেতনা বৃদ্ধিতে উপজেলার বাজারঘাটগুলোতে
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
/ নইবা
Pingback: তালা উপজেলা চেয়ারম্যান এর সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ প্রার্থনা - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: তালায় প্রতিবাদ করায় স্ত্রী কে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: রোহিঙ্গাদের ভার কতদিন বইবে বাংলাদেশ, আজ ২৫ আগষ্ট - দ্যা বাংলা ওয়াল