দেশব্যাপীশিক্ষাঙ্গনপরিবেশ ও সমাজজীবনশৈলীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

বেনাপোলে স্কুল নির্মাণ ত্রুটিপূর্ণ অংশ ভেঙ্গে দিলো গ্রামবাসী

বেনাপোলে স্কুল নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে ত্রুটিপূর্ণ অংশ ভেঙ্গে দিলো গ্রামবাসী

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর তত্বাবাধনে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের

নব নির্মিত চারতলা ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও নিন্মমানের সরঞ্জাম ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নির্মাণ কাজ বন্ধসহ

ভবনটির লিনটন, ব্যালকনি, ড্রপছাদ ও পিলারের কিছু অংশ ভাংচুর করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী।

জানুয়ারি থেকে রাজশাহী মহানগরীতে অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি

শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের এস আই রিয়েল এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহলদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অন্য দিকে ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়ম-দূর্নীতির ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ঠিকাদার স্থানীয় একটি মহলের মাধ্যমে

তদবির মিশনে নামায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের

নতুন ভবন নির্মাণের কাজ পায় যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এন আই ট্রেডার্স’।

গত বছরের ৩ জুলাই এ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শুরুর প্রথম থেকেই বেজমেন্ট,

কলম ঢালাই কাজে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও এলাকাবাসীর বাধার মুখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান

আর অনিয়ম করবে না বলে আশ্বস্ত করে পুনরায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

রোববার সকালে আবারো নির্মাণ কাজে অনিয়ম ধরা পড়লে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা ভেবে ভবনের অনেকাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানান, ভবনটির ভিত এতো নিচু করে করা হয়েছে যে, বৃষ্টির পানি গড়িয়ে ক্লাসের মধ্যে ঢোকার আশংকা রয়েছে।

রেলিং এ যে পরিমাণ রড দেওয়ার কথা রয়েছে তা দেওয়া হয়নি। এর ফলে যে কোন সময় রেলিং ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে।

এছাড়া রড, সিমেন্টে ফাঁকি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে ভবনটি যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তেমনি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

ফলে টেকসই আর নিরাপদ ভবন চান তারা।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মিনহাজুর ইসলাম মিন্টু সংবাদকর্মীদের জানান,

ভবন নির্মাণের জন্য নকশাঁ অনুযায়ী নির্ধারিত রড ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার না হওয়ায় আমি নিজেই কাজ বন্ধ রাখাসহ ছয়টি পিলার ভেঙ্গে ফেলি।

ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র মন্ডল বলেন, বার বার সতর্ক করা হলেও ঠিকাদারের লোকজন অনিয়ম করে ভবনের কাজ চালিয়ে গেছে।

বেনাপোলে স্কুল নির্মাণ যে কারণে নির্মাণাধীন ভবনের কিছু অংশ বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী ভাংচুর করা হয়েছে। আমরা সঠিক নিয়মে কাজ চাই। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে রাখতে চাই না।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এন আই ট্রেডার্সের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম বলেন, নির্মাণ কাজে তেমন কোনো অনিয়ম হয়নি।

ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শে কাজ হয়েছে। তবে নির্মাণ শ্রমিকরা স্কুলের বারান্দার কাজ করার সময় এক জায়গায় কম রড ব্যবহার করেছে বলে জানতে পেরেছি।

বইছে শৈত্যপ্রবাহ শ্রমজীবীরা কষ্টে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা

অভিযোগ পাওয়ার পর তা ঠিক করা হবে জানালেও স্কুলের লোকজন ভাংচুর করেছে।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জহির রায়হান জানান, গ্রামবাসী কর্তৃক অনিয়ম করে নির্মিত ভবনের কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে ফেলার কথা তিনি জানেন।

নিয়োজিত ঠিকাদার কামাল আহমেদকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, নির্মাণাধীন স্কুল ভবন ভাংচুরের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

তবে সে রকম কিছু ঘটলে তদন্ত করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট মহলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবন হুমকির মুখে ফেলা

সরকারী কর্মকর্তাসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শাস্তি দাবী করেছেন।

/ মোঃ জামাল হোসেন

The Bangla Wall
http://shopno-tv.com/
https://shopnotelevision.wixsite.com/reporters
Shopno Television
Shopno Television
http://shopno-tv.com/

বেনাপোল (যশোর) করেসপনডেন্ট

Md. Jamal Hossain Mobile: 01713-025356 Email: jamalbpl@gmail.com Blood Group: Alternative Mobile No: Benapole ETV Correspondent

2 thoughts on “বেনাপোলে স্কুল নির্মাণ ত্রুটিপূর্ণ অংশ ভেঙ্গে দিলো গ্রামবাসী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *